সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রাচীন শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হাটুভাঙ্গা শাহী ঈদগাহ'র পূর্বদিক ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে প্রায় বছর খানিক থেকে। সংস্কার না করায় যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে টিলার পাশ ভেঙে ঈদগাহের অস্থিত্বে টান পড়ছে। প্রচলিত রয়েছে এই ঈদগাহ রারো গ্রামের মানুষের জন্য নির্মিত এবং প্রতি বছর দুইটি ঈদে হাজার হাজার মানুষ এখানে ঈদ জামাত আদায় করেন।

ঈদগাহের দেয়ালের পাশ দিয়ে হাটুভাঙ্গা গ্রামের মানুষের নিত্যদিনের চলাচল ছিল। কিন্তু এখন আর সেই রাস্তাই নেই। ভেঙ্গে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা।


ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বর্তমানে ঈদগাহের মূল ফটকের গেইটের বিপদজনক ভাঙ্গনের ফলে বেখেয়ালি পথচারী খাদে পড়ে বড় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে গত ৬ মাস ধরে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে এ রাস্তা দিয়ে।
বিয়েশাদী, সামাজিক অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয়দের। এতদিন থেকে সংস্কারের ব্যবস্থা না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালে হাটুভাঙ্গা শাহী ঈদগাহের মেরামত কাজ ও দুইটি সিড়ি নির্মান করান সাবেক সাংসদ মরহুম মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনি নিজেও এই ঈদগাহে প্রতি ঈদের জামায়াত আদায় করতেন।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখানে পুরোনো প্রায় ৬০০ গাছ লাগানো হয়েছিল। এখন তা বিক্রির উপযোগী। পরিচালনা কতৃপক্ষ গাছগুলো বিক্রি করেও সংস্কার করতে পারতেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আলি হোসেন জানান, আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছি। বাচ্চারা খেলাধুলায় বের হয়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।

অন্যান্য বাসিন্দারা বলেন, এখনই ভাঙনরোধে একটি টেকসই গার্ড ওয়ালসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষায় ঈদগাহর অর্ধেক অংশ ভেঙে যাবে।

হাটুভাঙ্গা শাহী ঈদগাহ কমিটির বর্তমান সভাপতি ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী অসুস্থ অবস্থায় একটি হাসপাতালে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, এটা কেউ জানায় নি। তবে বর্তমানে তেমন ফান্ডও নেই। তবুও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এফইউ/এসডি-৩২