সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ইসলামের অবমাননা ও ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করে কটূক্তি করায় এক তরুণীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত। আনিকা আতিক (২৬) নামে ওই নারীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বুধবার অভিযুক্ত আনিকা আতিকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। একইসঙ্গে ধর্ম বিশ্বাসকে অবজ্ঞা করার কারণে ১০ বছর ও অনলাইনে ঘৃণা ছড়ানোর কারণে তাকে আরো সাত বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, আনিকা আতিক তার এক ছেলে বন্ধুকে হোয়াটসঅ্যাপে ইসলামের অবমাননাকর লেখা ও ব্যঙ্গচিত্র পাঠান।


পরবর্তীতে ওই ছেলে বন্ধু বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। যা পরবর্তীতে ধর্ম অবমাননার মামলা হিসেবে আমলে নেয় পুলিশ। আনিকাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বিচারক আদনান মুস্তাক তার রায়ে বলেন, অভিযুক্ত তরুণী অনলাইনে ধর্ম অবমাননাকর যেসব মন্তব্য করেছেন ও ব্যঙ্গচিত্র হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছেন, তা একজন মুসলমান কখনো মেনে নিতে পারবে না।

তবে আদালতে আনিকা দাবি করেছেন, হাসনাত ফারুক তার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাকে ফাঁসিয়েছেন। আনিকার ভাষ্যমতে, হাসনাত তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আনিকা এখন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম /ডেস্ক/জিএসি-০৯


সূত্র : ডন ও আল-জাজিরা।