বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগার আর বাড়ির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাদের যখন-তখন আটক করে জেল হাজতে পুরে দেওয়া হচ্ছে। যশোরের সমাবেশকে ঘিরে জেলার নেতাকর্মীদের ধড়পাকড় চালানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
 

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে যশোর শহরের ভোলা ট্যাঙ্ক রোডে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।



অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে। এটা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানেন। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচন নিয়ে তিনি সংবিধান দেখান। সংবিধান কি বড় পাথর যে সংবিধান সংশোধন করা যায় না। জনগণের জন্যই তো সংবিধান।
 

রিজভী আরও বলেন, গাজীপুর নির্বাচনের দ্বিতীয় শ্রেণির পাসকৃত এক নারীর কাছে শোষণীয় পরাজয় হয়েছে আওয়ামী লীগের। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে তাদের দলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

রিজভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোন দেশের সরকার গঠন হয় না। এসব নির্বাচন সুষ্ঠু দেখিয়ে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে বলে জানান দিচ্ছে। আসলে এসব ভেলকিবাজির রাজনীতি।


সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন এবং এখনো রাজত্ব করে যাচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা এক সময় চেয়ে-চিন্তে খেত তারা এখন বড় বড় শিল্প কলকারখানার মালিক। কীভাবে তারা আজ এতোকিছুর মালিক হলো? পুনরায় বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে বিএনপি নেতাকর্মীদের একত্রিত হয়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন করারও আহ্বান জানান তিনি।
 

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অন্দিদ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি ও সাবিরা ইসলাম মুন্নী প্রমুখ। 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি


সূত্র : ঢাকা পোস্ট