ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উদ্বোধন করা হয়েছে ভারতের নতুন সংসদ ভবনের। গত কয়েক বছর ধরে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে এই সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পুরোনো পার্লামেন্ট ভবনটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হবে।
 

আর নতুন পার্লামেন্ট বসবে নতুন এই ভবনে। শুধু তা-ই নয়, এই ভবনের সঙ্গে যে রাস্তা যুক্ত করা হচ্ছে, সেখানে থাকবে সরকারি দপ্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু করে এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প সমস্ত সরকারি দপ্তর এবং ভবনকে যুক্ত করবে।



কিন্তু নতুন এই ভবনের উদ্বোধন নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, করোনা মহামারির সময় যখন মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকারের অর্থ খরচ করার কথা ছিল, তখন সে কাজ না করে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের জন্য অর্থ বাঁচানো হয়েছে। সেখানে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
 

কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই তীব্র বিতর্ক এবং সমালোচনা চলছে। করোনার সময়েও এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি বলে কোনো কোনো পক্ষের দাবি।


আর এ কারণে দেশের ২০টি বিরোধী দল এই প্রকল্পের উদ্বোধন বয়কট করেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টির মতো প্রথম সারির বিরোধী দলগুলোও আছে।
 

অভিযোগ রয়েছে এই সংসদ ভবন উদ্বোধনে ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মূকেও ডাকা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এই ভবনের উদ্বোধন করেন। বিরোধী দলগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। যদিও বিজেপির বক্তব্য, অনুষ্ঠান বয়কট করে বিরোধীরা আসলে ভারতের গণতন্ত্র এবং সংবিধানের অবমাননা করছে।
 

সরকারপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, আয়োজন করেই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। ভারতের ইতিহাস মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে পুরো ভবনটি। আগের পার্লামেন্ট ভবনের চেয়ে আকারে এবং আয়তনে এই ভবন অনেক বড়।
 

এছাড়া অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা আছে এর ভেতর। এই ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি নতুন কয়েন বা পয়সার উন্মোচন করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৭৫ রুপির কয়েনের উদ্বোধন হবে এদিন।
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি


সূত্র : ঢাকা পোস্ট