এখনও আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে সরগরম সিলেট সিটির ভোটের মাঠ। প্রার্থীরা একে অন্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন। কারো আছে- লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগ আর কারো ‌‘সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কমিশন’ এমন অভিযোগ। সব মিলিয়ে সরগরম ভোটের মাঠ।

নির্বাচনে ৬ মেয়র প্রার্থী ভোট লড়াইয়ে নেমেছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পাটি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু ও মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (স্বতন্ত্র)।



এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী নিার্বচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। তবে তফসিল ঘোষনা হবার পরেই আরিফ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একে অপকে উদেশ্য করে বক্তব্য দেন। আসে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।


এদিকে ২৮ মে রাতে মেয়র আরিফের কুমারপাড়াস্থ বাসভবনে উপস্থিত হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তাঁকে স্বাগত জানান মেয়র আরিফ ও তাঁর স্ত্রী শ্যামা হক। একই রাতে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলও মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়- সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তার অভিযোগ- সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়।


তবে বাবুলের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমার অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। আমি কারো বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেই না। অভিযোগ করার মতো কিছু.. আপনারা সাংবাদিকরা আছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। আর যদি আমাদের পক্ষ থেকে যদি কোন ইয়ে... হয়। তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’


অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মাহমুদুল সম্প্রতি গণমাধ্যমে জানান, ‘নির্বাচনের এখনো অনেক বাকি। প্রতীকও বরাদ্দ হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে পরিবেশ ঘোলাটে হতে শুরু করেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এখনই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে জোর করে হলেও পাস করাতে হবে- এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।’


তবে এ অভিযোগ প্রসঙ্গে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান বলেছেন, ‘ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। যারা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছেন তারা ইচ্ছা করেই আগেভাগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।’


নির্বাচনে তফসিল অনুযায়ী ২৩ মে ছিলো মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই ২৫ মে ও ১ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীর ওয়ার্ড ৪২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজরা ভোটর রয়েছেন ৬ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১হাজার ৪৬২টি।।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কেআই-এম