নীতিমালা ভঙ্গ করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে শাল্লা উপজেলায় এক শিক্ষক বদলি করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) কে চিঠি দিয়েছে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।



সোমবার (২৯ মে) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) কে দেওয়া চিঠিতে নিয়ম বহির্ভূত এই বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।
 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিঠির একাধিক কপি বিভিন্ন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত এই বদলির কারণে আগামীতে শাল্লা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষা নিয়োগে প্রার্থীদের সুযোগ সীমিত করার পাশাপাশি এই ঘটনায় জনমনে অসন্তোষ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
 

লিখিত চিঠিতে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব উল্লেখ করেন, গত ২৫ মে শাল্লা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রীতম দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাহিরপুর উপজেলার সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকরী শিক্ষক রোমানা আক্তারকে শাল্লা উপজেলার দক্ষিণ মামুদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি আইন ভঙ্গ করে যোগদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার স্বামীর বাড়ি পার্শবর্তী নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরি উপজেলায়। ওই শিক্ষক এই তথ্য গোপন ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বদলির আদেশ প্রাপ্ত হয়েছেন। তার এই নিয়ম বহির্ভূত বদলি পরবর্তী নিয়োগে শাল্লা উপজেলার একজন শিক্ষক কম পাবে। এসব উল্লেখ করে তার বদলির আদেশ বাতিল করে এই উপজেলার কোন বিদ্যালয়ের বদলে খালিয়াজুরি উপজেলায় বদলি করার আহ্বান জানান অভিযোগকারী।

 


এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব সোমবার (২৯ মে) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) কে চিঠি দিয়ে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ এর ৩.৬ ও ৩.৯ ধারা পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন। চিঠির সঙ্গে তিনি ওই শিক্ষকের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার কাগজপত্র, চাকরি ও বিয়ের কাগজপত্রও যুক্ত করেন। এই বদলির আদেশের ফলে আগামী নিয়োগে শাল্লার চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত হওয়ায় জন অসন্তোষ বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। গঙ্গানগরে কোন পদ না থাকার পরও কিভাবে শিক্ষক বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। লিখিত আবেদন করে বদলি ও যোগদান আটকানোর অভিযোগ করার পরপরই ওই শিক্ষককে বদলির পূর্ণ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।


শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, ‘সমন্বিত অনলাইন বদলী নির্দেশিকা (সংশোধিত) ২০২২’ লঙ্গন করে শাল্লায় একজন প্রাথমিক শিক্ষককে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে তাকে যোগদান না দিতে এবং শাল্লার চাকুরি প্রার্থীদের বঞ্চিত না করতে ব্যবস্থা নিতে আমার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। আমি আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত