সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদান হতে হবে আনন্দময়। তাদেরকে শেখাতে হবে আনন্দের মধ্য দিয়ে, তবেই সে যেকোন বিষয় আত্মস্থ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষায় প্রবেশ করতে পরিচালকের ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা। মেডিকেল শিক্ষায় দিন দিন যে পরিবর্তন আসছে তাতে শিক্ষকরা হবেন শিক্ষার্থীর গাইড এবং শিক্ষার্থীর আনন্দের অংশীদার। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দের মধ্যে শিক্ষার জগৎটাকে খুঁজে নিতে পারে। আর এজন্যে শিক্ষকদেরও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, প্রতিনিয়ত চর্চা করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে তা হচ্ছে সেলফ ইভাল্যুশন বা আত্ম-মূল্যায়ন। কেননা শিক্ষক যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করার জন্য সহজতর ও অতীব কার্যকরী উপায় এটি। এর মাধ্যমে শিক্ষক তার অর্জিত যোগ্যতার মান পর্যবেক্ষণ পূর্বক নিজেকে যোগ্যতার সর্বোচ্চ মানে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় অধ্যয়ন ও অনুশীলন করতে পারেন। 


বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে সিলেটের সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং মূল্যায়নের উপর দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ সুনামগঞ্জের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনোজিত মজুমদার, পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দিলীপ কুমার ভৌমিক, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহিম কায়সার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ৩৫ জন শিক্ষককে সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন- সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদাল মিয়া, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. নাসিম-ই-তাসনিম।