সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট বারো জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তবে কোনো মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। মনোনয়ন প্রত্যাহারকারীরা সব সাধারণ ওয়ার্ডের।


মনোনয়ন প্রত্যাহার করা বারো কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন, ৭ নং ওয়ার্ডের আলম হোসেন আলম, ১৩ নং ওয়ার্ডের সুমন আহমদ, ১৪ নং ওয়ার্ডের তপু গনি, ১৮ নং ওয়ার্ডের মো. সাজুয়ান আহমদ, ২৩ নং ওয়ার্ডের তারেক আহমদ, ২৯ নং ওয়ার্ডের মো. আতাউর রহমান, ৩৩ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সবুর চৌধুরী, ৩৪ নং ওয়ার্ডের এনামুল কবীর চৌধুরী, ৩৬ নং ওয়ার্ডের এস এম আলী হোসেন, ৪১ নং ওয়ার্ডের শাহীন আহমেদ ও মো. আল আমিন এবং ৪২ নং ওয়ার্ডের মো. বদরুল ইসলাম ।


মনোনয়ন প্রত্যাহারে পর সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৩৬০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে কোন মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না কারায় ৭ মেয়র প্রার্থীই লড়বেন এবারের সিসিক নির্বাচন।


গেল ২৫ মে যাচাইবাছাই শেষে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন আপিল করায় একজন ফিরে পেয়েছেন তার প্রার্থিতা। যার ফলে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া।


মনোনয়ন বাতিল হওয়ার এগারো জন কাউন্সিলরের মধ্যে সাত জন ফিরে পেয়েছেন তাদের প্রার্থিতা। যার মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৩ জন রয়েছেন। যার ফলে মনোনয়ন প্রত্যাহার পর চূড়ান্ত লড়াইয়ে সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ কাউন্সিলর) প্রার্থীর সংখ্যা ২৭৩ জন আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন।


অতীতে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে এই সিটি করপোরেশন থাকলেও এখন ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪২টি। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজরা ভোটর রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৯০টি যেখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১হাজার ৪৬২টি।

২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা।
 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম /নাজাত