মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ‘খাদ্যে ভেজাল মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। যারা খাদ্যে ভেজাল মিশায় তারা দেশ ও মানবতার শত্রু। খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে এসব অপরাধীরা নীরব গুপ্ত ঘাতকের ন্যায় কাজ করছেন। খাদ্যে ভেজাল দূর করলে আমাদের স্বাস্থ্য বাজেট কমিয়ে আনতে পারবো। আমাদের সমাজে স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের ওপর খাদ্য নিরাপত্তার গভীর প্রভাব রয়েছে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা একটি গুরুতর হুমকির সৃষ্টি করে, যার ফলে অপরিসীম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এমনকি প্রাণহানিও ঘটে। কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন এবং দৃঢ় নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে, আমরা জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারি এবং আমাদের খাদ্য ব্যবস্থায় আস্থা তৈরি করতে পারি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন বর্তমান সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’
 

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিলেট জেলা কার্যালয় আয়োজিত ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মসূচি’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
 


ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তায় সচেতনতা, শিক্ষা এবং গবেষণার প্রচারে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করি, কারণ এটি একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী সমাজের ভিত্তি।’

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসানের সঞ্চালনা ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দিন। জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৈয়দ সারফরাজ হোসেনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী এম. মোকাম্মেল ওয়াহিদ। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন ও আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর  ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক শেখ আশরাফুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. মাহফুজুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস,  ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কাজী অহিদুজ্জামান, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক (ইটিএল) ড. রমা ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, পরিচালক (অর্থ) মো. ইনামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী প্রমূখ।
 

আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের সচিব খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক উপকরণ সামগ্রী ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কিছু বই উপহার দেন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় খাদ্য নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট লিফলেট ও বুকলেট। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক অচিরেই মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে নিরাপদ খাদ্য ক্লাব গঠন ও নিরাপদ খাদ্য অলিম্পিয়াড আয়োজনের ঘোষণা দেন।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৪