ছবি : শাহিন আহমেদ

আর পনেরো দিন পরেই সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। আর এই নির্বাচনী প্রাচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার। ফলে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার লাগানোর ধুম পড়েছে।

 


মঙ্গলবার (৬ জুন) মহানগরীর প্রায় সবকটি সড়ক ও পাড়া মহল্লার অলিগতিতে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার দেখা গেছে।

 

প্রার্থীদের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে ভিজে পোস্টার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই পোস্টারগুলো পলিথিনে মোড়ানো হয়েছে। তবে পলিথিনে মোড়ানো কারণে পরিবেশ দূষণের শঙ্কা করছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁদের বক্তব্য, এসব পলিথিন পচনশীল না হওয়ায় পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি করবে।

 

এ নির্বাচনে মোট ৭ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার হলেন- আওয়ামী লীগের মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম দলীয় প্রতীক (গোলাপফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি)।

 

এ বিষয়ে পরিবেশ কর্মী ইমরান ইমন বলেন, সিলেট মহানগরতে জলাবদ্ধতা একটি মারত্নক সমস্যা। এইসব পলিথিন নগরের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে একসময়। যা পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি করবে।

 

সিলেট সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাদের নজরে পড়েনি।'


সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৭ জন মেয়র এবং ৩৬০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এএরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া ভোটর রয়েছেন ৬ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ শাদিআচৗ