একুশে পদক প্রাপ্ত বরেণ্য সঙ্গীত সাধক এবং অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা পন্ডিত শ্রী রামকানাই দাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নগরীর ঐতিহ্যবাহী সারদা হলে অনুষ্ঠিত হয় খেয়াল সঙ্গীত একাডেমির নিয়মিত মাসিক আয়োজন ‘সুর আসর’। 

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন খেয়াল সঙ্গীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, পন্ডিত শ্রী রামকানাই দাসের সুযোগ্য উত্তরসূরী গুরু কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ইমন।


অনুষ্ঠানে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের নবনির্বাচিত পরিচালনা পরিষদকে অভিনন্দন এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্মিলিত নাট্য পরিষদের হয়ে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক, বিশিষ্ট সংগঠক ও সংস্কৃতিজন শ্রী অরিন্দম দত্ত চন্দন, নবনির্বাচিত সভাপতি শ্রী রজত কান্তি গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদসহ কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তথ্যচিত্র নির্মাতা, লেখক ও সংস্কৃতিজন শ্রী নিরঞ্জন দে,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংস্কৃতিজন শ্রী সুবোধ রঞ্জন দাশ সবুজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল জাহের।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুরু কৃষ্ণপদ বিশ্বাস একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সঙ্গীতসাধক পণ্ডিত রামকানাই দাশের সুযোগ্য উত্তরসুরী। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে খেয়াল সঙ্গীত একাডেমির মাধ্যমে শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসারে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।  আজকের সময়ে একজন ভালো সুগায়ক পাওয়া যেখানে কঠিন হয়ে যাচ্ছে, সেখানে কৃষ্ণপদ বিশ্বাস অসংখ্য শিষ্য গড়ে তুলেছেন যারা নির্দ্বিধায় রাগসঙ্গীতকে ভালবেসে তালিম নিচ্ছে এবং ভালো কাজ করছে। তাঁর পরিশীলিত শিক্ষাদান পদ্ধতির পাশাপাশি যে মনুষ্যত্ব বোধ তৈরি করে দিচ্ছেন, সেটা তার শিষ্যদের পরিচ্ছন্ন গায়কী ও বিনয় দেখেই অনুধাবন করা যায়। খেয়াল সঙ্গীত একাডেমির হাত ধরেই যেনো আমাদের সিলেটের রাগসঙ্গীত চর্চার সেই সোনালি দিন ফিরে আসে এবং এর জন্য আমরা তাদের পাশে আছি, থাকবো।

সুর আসরে মল্লিকা দেবির সঞ্চালনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন, খেয়ালের চারজন মেধাবী শিক্ষার্থী - মাশিয়াত তাহসিন,  মাসুম বিল্লাহ, অদিতি হালদার পূজা, অর্ণব কান্তি সিং।

কিবোর্ডে ছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী, অক্টোপ্যাডে জয় কর্মকার, লিড গিটারে কামরুজ্জামান, বেজ গিটারে খেয়ালের শিক্ষার্থী সুদিপ্ত শান্ত এবং তবলায় ছিলেন খেয়ালের শিক্ষার্থী তবলায় জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত দেবজিত সরকার।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/মাহি