আর ১২ দিন পর সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বেশীরভাগ ‘স্বশিক্ষিত’।

জানা গেছে,  প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৯২ জন ‘স্বশিক্ষিত’। এ ছাড়া ৭৬ জন প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। দুজন প্রার্থী ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে।


সচেতন নাগরিকেরা বলেছেন প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এমন চিত্রে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর মধ্যে ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৭ জন প্রার্থীর হলফনামা আপলোডই করা হয়নি। এ ছাড়া ৪, ১০, ১৪ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন করে মোট চারজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার অংশটি হলফনামায় পাওয়া যায়নি। ফলে হলফনামা ঘেঁটে ২৩২ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি জানা গেছে।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৯ জন ‘স্বশিক্ষিত’ ও একজন ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। ৫১ জন প্রার্থী মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ৫০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখের স্থানটি অস্পষ্ট। বাকি ৮৬ জনের মধ্যে ২৩ জন ‘স্বশিক্ষিত’ এবং একজন ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। ২৫ জন মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ১৩ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি