ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (৯ জুন) বিস্ফোরণের পর আকাশে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধোঁয়ার মেঘের সৃষ্টি হয়।
 

যে দ্বীপে এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে এটি সমুদ্রের নিচ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে ১৮৮৩ সালের পর উদিত হয়। সে বছর ক্রাকাতোয়া পাহাড়ের আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল— যা ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরণ ছিল।



আনাক ক্রাকাতোয়া— যার অর্থ ক্রাকাতোয়ার সন্তান। এতে বিস্ফোরণে পর জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রণালীর ওপর পাতলা ছাইয়ের মেঘ সৃষ্টি হয়েছে।
 

স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
 

ক্রাকাতোয়া মনিটরিং স্টেশনের কর্মকর্তা ডেনি মার্ডিওনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পাহাড়ের চূড়ায় বিস্ফোরণ কলামের উচ্চতা ৩ হাজার মিটার (১০ হাজার ফুটের কাছাকাছি) পরিলক্ষিত হয়েছে।’


আগ্নেয়গিরির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে সাধারণ মানুষকে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

২০২২ সালে আগ্নেয়গিরিটি আগের তুলনায় অনেকটা সচল হয়। তখনই কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছিল।
 

এর আগে ২০১৮ সালে এই আগ্নেয়গিরিতে বিশাল বিস্ফোরণ হয়। এর প্রভাবে আগ্নেয়গিরির মুখের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে এবং বড় একটি অংশ সাগরে গিয়ে পড়ে। এর প্রভাবে সুনামির সৃষ্টি হয়। আর ওই সুনামিতে প্রাণ হারান ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ। আহত হন আরও কয়েক হাজার।
 

প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের কাছে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ও অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি