পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইকে ভেঙে নতুন দল গঠন করা হয়েছে। নতুন এ রাজনৈতিক দলের নাম ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি)। বৃহস্পতিবার গঠিত এ দলটির বেশিরভাগ নেতা পিটিআইকে পরিত্যাগ করে এ দলটিতে যোগ দেন।
 

ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) দেশটির রাজনীতিকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিতে চায়। এছাড়া পাকিস্তানকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ দলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে।



কয়েক সপ্তাহ আলোচনার পর জাহাঙ্গীর খান তারিন এ দলটি গঠন করেন। তিনি পাকিস্তানের অসংখ্য চিনি কলের মালিক, তাকে ‘সুগার ব্যারন’ বলে অভিহিত করা হয়। এর আগে তিনি পিটিআই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন।

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরের একটি স্থানীয় হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের সময় নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন জাহাঙ্গীর খান তারিন। এ সময় তার পাশে ছিলেন পিটিআই পরিত্যাগকারী বেশ কয়েকজন নেতা। 
 

এ দলটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তল্পিবাহী দল বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তারা এখন রাজনীতিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। পাঞ্জাব প্রদেশকে কেন্দ্র করেই তারা তাদের বেশিরভাগ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবেন। 


তারিনের সঙ্গে বর্তমান সরকারেরও একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে এখনও এ রাজনৈতিক নেতা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না যে এ প্রদেশে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কোন দল হতে পারে।
 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি হবে "প্রগতির প্রতীক", দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন জাহাঙ্গীর খান তারিন। দলের অন্যান্য পদের কথা ঘোষণা করা হয়নি। একইভাবে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে দলটির ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। 
 

দলটিতে তারিনের সঙ্গে আছেন সিন্ধুর সাবেক গভর্নর ইমরান ইসমাইল, সাবেক পিটিআই নেতা আলিম খান, আজাদ কাশ্মিরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তানভির ইলেস, সাবেক মন্ত্রী আমির কিয়ানি, আলি জাইদি,  নোমান ল্যাংড়িয়াল, ফাইয়াজুল হাসান চোহান, ফিরদৌস আশিক আওয়ান ও সাঈদ আকবর নাওয়ানি প্রমুখ।
 

এছাড়া ইমরান খানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে পিছনের সারিতে দেখা গেছে। তাকে ঘিরে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কোনো কথা বলেননি।
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি