বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, দেশের একমাত্র প্রধান সমস্যা হচ্ছে শিক্ষায় আমরা পিছিয়ে আছি। দেশে এখনো শিক্ষার হার কম। এখনো ২০-২৫ ভাগ মানুষ নাম লিখতে পারেনা৷ আরও ২০-৩০ ভাগ মানুষ নাম লিখতে পারে কিন্তু কি লিখছে তা ভালোভাবে জানেনা৷ এটার পরিবর্তন না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা দুনিয়ার মানুষের সাথে মিশতে পারব না৷ এর একমাত্র অস্ত্র শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না৷  দরিদ্র মানুষ কোথাও ন্যায় বিচার পায় না৷ এটা আমি দীর্ঘজীবনে দেখেছি। দরিদ্র মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা থাকলে কেউ তার সাথে অবিচার করতে পারবে না৷ তাই শিক্ষার কোন বিকল্প নেই৷ আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে সকল সুবিধা দিতে বদ্ধ পরিকর৷

শুক্রবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে ডুংরিয়া উত্তরণ ক্লাবের আয়োজনে এম এ মান্নান প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।


শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে সেই শিক্ষা যেখানে কোন কৃত্রিমতার সুযোগ নেই। হাতে কলমে নিজে বুঝে দেখে পড়ালেখা করলে সেই শিক্ষা দেশ ও জনগনের কল্যাণে আসবে। শুধু গ্রেড ভালো হলেই ভালো শিক্ষার্থী নয় গ্রেডের পাশাপাশি স্বশিক্ষিত হতে হবে। গ্রেড দিয়ে শিক্ষার মান বিচার করা যায়না। তুমরা যারা লেখাপড়া করছো আশা করছি ভালোভাবে লেখাপড়া করে দেশ ও জাতির সুনাম বয়ে আনবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব কিছুতেই যুগান্তকারী অবদান রাখছে। দেশের মানুষ এখন এই সরকারকে  বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক মনে করে। এই সরকার কোন ভেদাভেদ সমর্থন করেনা। সরকার সবার জন্য সমান সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে ; যার জন্য দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন।

ডুংরিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মদন মোহন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবু নঈম শেখ৷
 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. রমা বিজয় সরকার, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো: এহসান শাহ, পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র লন্ডন ব্রাকলেস ব্যাংকের এমডি শাদাত মান্নান অভি।
 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রীর সহধর্মিণী জুলেকা মান্নান, মেয়ে সায়রা মান্নান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক ও পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, ডুংরিয়া উত্তরণ ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান বারি সুজন ও সাধারণ জহিরুল ইসলাম অমিতসহ প্রমুখ৷
 

অনুষ্ঠানের পরবর্তীতে শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বৃত্তিপ্রাপ্ত ৭৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধা তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডে সার্টিফিকেট, প্রাইজবন্ড, স্কুল ব্যাগ, সোলার লাইট, মগ, বিবিএস পকেট বুক, এবং 'আমার দেখা নয়া চিন ' প্রদান করা হয়।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সামিউল/এসডি-২০২