মোদী পদবি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। ফিরে পেয়েছেন হারানো সাংসদ সদস্য পদ। এই নির্দেশের ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও আর বাধা নেই তাঁর। সদস্য পদ ফিরে পাওয়ার পরই রাহুলের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অপরদিকে, এবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। সেক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী কোন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন, সেদিকে নজর সকলেরর।
এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে নবনিযুক্ত কংগ্রেস প্রধান, অজয় রাই শুক্রবার(১৮ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, আগামী নির্বাচনে আমেঠি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল গান্ধী। পাশপাশি তিনি জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যদি বারাণসী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তবে প্রতিটি কংগ্রেস কর্মী প্রিয়াঙ্কার সাফল্যের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে নির্বাচনী লড়াই করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। তার উপর গত নির্বাচনেও বারাণসী থেকে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাইকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে জয় পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এমন পরিস্থিতিতে অজয় রাইয়ের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই তরুপের তাস করতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট? যদিও অজয় রাই প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হবেন।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ একটা সময় গান্ধী পরিবারের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল। বিশেষ করে আমেঠি কেন্দ্রটি। এই আসন থেকে ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী প্রত্যেকেই আমেঠিবাসীর মন জয় করতে সফল হয়েছিলেন। এই আসন থেকে একাধিকবার জিতেছেন সোনিয়া গান্ধীও। কিন্তু, গত নির্বাচনে সেই চেনা গড়েই স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে পরাস্ত হন রাহুল। এবার সেই কেন্দ্র থেকে ভোটের লড়াইয়ের আরও একবার হুঙ্কার দিতে চলেছেন রাহুল গান্ধী!
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-০৪