পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একটি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই সংখ্যা আরো বাড়তেও পারে। রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলার বারাসাত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ গ্রামের একটি কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

 


কারখানার মালিক তৃণমূল কর্মী আজিবুর রহমান। বিস্ফোরণের শব্দ এত বেশি ছিল যে তা ২০ কিলোমিটার দূরের বারাসাত জেলা সদর থেকেও শোনা গেছে। এলাকার বেশ কয়টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পুলিশ বলেছে, বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিক দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।


স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এখানে যে পটকা কারখানা রয়েছে, তা রাজ্য প্রশাসন, পুলিশ এবং এলাকার মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন। তাঁদের নাকের ডগায় বেআইনিভাবে এই কারখানা গড়ে উঠেছে। বিস্ফোরণে তিনটি বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। পাওয়া গেছে গুদামভর্তি পটকা এবং এগুলো তৈরির সরঞ্জাম।


ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণের আঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে, ওই সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আশপাশে। যে বাড়িতে বাজি তৈরি হতো, সেই বাড়িটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ছাদ। বাড়ির কংক্রিটের পিলারও ভেঙে পড়েছে। তার নিচে অনেকেই আটকে পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিনজনের। আশপাশেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। কোথাও গাছের ডালে, আবার কোথাও টালির চালে মৃতদের দেহাংশ ঝুলতে দেখা গেছে।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১০ পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজন মারা গেছে। এই ঘটনায় আরো পাঁচজন আহত হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৭