বর্ণবৈষম্য দূরীকরণে ব্রিটেনের রানী কর্তৃক চেম্বার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) খেতাবপ্রাপ্ত এবং বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের অবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার মুহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন তার সাম্প্রতিক অবসরকালীন সময়ে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের একজন কলম যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে মানবতার তরে নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিউহোপ নামে একটি এনজিও সংস্থা। 


অবসর গ্রহণের পর ফয়েজ উদ্দীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে কাজ করার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হোন এবং জনাব তারেক রহমানের পরামর্শেই তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল ও সংস্থায় এবং বৈদেশীক রাস্ট্র সমূহের বিভিন্ন দফতরে পত্র মারফত আওয়ামী বিরোধী লেখালেখির দায়িত্ব নিজ কাধে তুলে নেন। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সহ যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদের দফতর সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের আদালত কতৃক সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানান বিষয়ে চিঠিপত্র দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলার উদ্দেশ্যে তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এছাড়া সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে তিনি সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান, বিএনপি শীর্ষ স্থানীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির জেলা ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে মিলিত হোন এবং কিভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির বন্ধু প্রতিম বিদেশী রাস্ট্রসমূহের সমর্থন আদায় করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। 

এছাড়া ফয়েজ উদ্দীন সুজাম যুক্তরাজ্য থেকে নিউহোপ এনজিওর মাধ্যমে সরকার ও আদালত অন্যায়ভাবে কতৃক শাস্তিপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত জাতীয়তাবাদী ও ৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তাকল্পে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে বাংলাদেশে বসবাসরত নিজ ভাই নিজাম উদ্দীন, ভাগিনা আদিল আদনান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের শীর্ষস্থানীয় নেতা মো: মোস্তফা খালেদ আহমদের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা করে যাচ্ছেন। 

ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র জন্মস্থান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শ্রীরামপুর গ্রামে। ফয়েজ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জনের পর উচ্চ শিক্ষার্থে যুক্তরাজ্য গমণ করেন। তিনি লন্ডনের সিটি ব্যাংকিং কলেজ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। যুক্তরাজ্যে যাবার পর থেকেই তিনি বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ শুরু করেন ও পরবর্তীতে কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রিন্সিপাল অফিসার নিযুক্ত হন। অভিবাসী বাংলাাদেশী ও ক্ষুদ্র জাতি সত্বার বৃটিশ নাগরিকদের জন্য তার সেবামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি বৃটিশ রাণীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন এবং এমবিই খেতাবে ভূষিত হোন। মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এমপায়ার সংক্ষেপে এমবিই সম্মাননার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ফর গড অ্যান্ড দ্য এম্পায়ার। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের ওয়েষ্ট মিডল্যান্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কলমযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দীন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের আদেশে ও পরামর্শে সিলেট-৩ আসনে নির্বাচন করার লক্ষে কাজ করছেন সেই সাথে সম্পূর্ণ সিলেট বিভাগে যাতে বিএনপির জয় নিশ্চিত করা যায় সেই লক্ষেও দলীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর