মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কামরুল হোসেন নামে এক ফ্রান্স প্রবাসীর ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ওই প্রবাসীর মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে মারত্মক জখম হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত নয়টার দিকে বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
 


আহত কামরুল বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ এলাকার আজমল হোসেনের ছেলে।

এই ঘটনায় আহত প্রবাসী কামরুল হোসেনের বড়ভাই আব্দুল কুদ্দুছ উপজেলার জফরপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৪০), শামীম আহমদ (৩৮), পাভেল আহমদ (২৫) ও আমিনুল ইসলাম (৩২) এর নাম উল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ রাতেই প্রধান আসামী নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সে থাকেন। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কামরুল হোসেন তার ভাগ্নেকে মাদ্রাসা থেকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকায় রাস্তায় মানুষের জটলা দেখতে পান। এসময় বিবাদী নিজাম উদ্দিন গংদের সঙ্গে ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। যার কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে কামরুলের ভাগ্না মাহিন ভয় পাচ্ছিল। এসময় কামরুল বিবাদীদের মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার একটু সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। তখন নিজাম উদ্দিন তার হাতে থাকা রড দিয়ে কামরুলের মাথায় আঘাত করেন। পরে অন্যান্য বিবাদীরা কামরুলের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে কামরুলের মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে মারত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা বিবাদীদের কবল থেকে কামরুলকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
 

এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান রোববার বিকেলে বলেন, এক প্রবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় তার ভাই থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু/এসডি-৩৫৯