তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে রাজনীতিতে আবার সরব হতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য (বহিষ্কৃত) অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠেয় তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠানে দলটিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা। জানা গেছে, তাদের তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে পদায়ন করা হতে পারে।

এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে, বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং ক্ষোভ-অভিমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া অনেক নেতাও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া এই দলটিতে যোগ দিতে পারেন। এই তালিকায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও রয়েছেন। এর আগে বর্তমান জাতীয় সংসদে তিনি বিএনপির এমপি ছিলেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে বিএনপির এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপনির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।



তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। তারা একটা ভালো পদে থাকবেন।’ বিএনপিকে ভাঙার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই বলে জানান তিনি। বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন তার মেয়ে অন্তরা হুদা।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি তাকে গত দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। তিনি তো আর দল ছাড়েননি। তিনি আওয়ামী লীগেও যাবেন না। তাহলে এখন তার পরিচয় কী? মারা গেলে তার পরিচয় কী হবে? কোন ব্যানারে তিনি রাজনীতি করবেন? তার রাজনৈতিক জন্ম রাজপথে। যেহেতু বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে, তাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। তিনি সেখানেই যাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে থাকবেন বলে আশা তার।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সাবেক নেতা শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনিও তাদের সঙ্গে থাকছেন। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপির অনেক নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি করেন দলটির বহিষ্কৃত এই নেতা।

তবে এ বিষয়ে শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী। পরের বছর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি।

এরপর ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। এখনো তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্পধারা থেকে পদত্যাগ করেননি বলে জানা যায়।

অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করে বিএনপি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৪