“অসুস্থ সহপাঠীর শারীরিক ও মানসিক দিক চিন্তা করে মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের একটি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেন অন্য সহপাঠীরা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পরীক্ষা পেছানো কিংবা নেওয়া হবে না বলে জানায় শিক্ষকরা। এতে ৬ মাস সময় বিলম্বে পড়তে যাচ্ছেন ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আবেদন করেও পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাননি তারা। পরবর্তীতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তী সেশনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেই কোর্সের পরীক্ষা দিতে হবে। এর অন্য কোনো সমাধান নেই। তাই সড়কে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।”
ঘটনাটি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের।
বাতিল হওয়া কোর্সের (গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র) পরীক্ষা দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার সঙ্গে কিংবা এর আগেই নেওয়ার দাবিতে সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সড়কে মানববন্ধন পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এর আগে মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই কোর্সের পরীক্ষা যদি না নেওয়া হয় তাহলে আমরা ছয়মাসের ভোগান্তিতে পরে যাবো। পরিবার আমাদের দিকে চেয়ে আছে। পড়াশোনা শেষ করেই কিছু একটা করতে হবে।
তাই আমাদের একটাই দাবি, ‘হয় দ্বিতীয় সেমিস্টারের সঙ্গে প্রথম সেমিস্টারের ওই কোর্সের পরীক্ষা নিতে হবে আর নয়তো এর আগেই পরীক্ষা নেওয়া হোক। দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তা না হলে নতুন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।’
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দীকা গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে তিনি কোন কিছু বলতে চাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই চ‚ড়ান্ত বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ছাত্রউপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার আলোচনায় বসবেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/নোমান/এসডি-৩৮১