সুনামগঞ্জে শান্তিগঞ্জের হাসারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দেয়াল দিয়ে বসতভিটা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বুরহান উদ্দিন নামে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
তিনি উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের হাসারচর গ্রামের মৃত জানফর আলীর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নেজাবুল হক নিজে বাদি হয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরবারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের হাসারচর গ্রামের প্রভাবশালী ভূমিখেকো বুরহান মিয়া আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে হাসারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতক চারা রকম ভূমি দখল করে দেয়াল দিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে ডিসি খতিয়ানের ৫৩ শতক চারা রকম ভূমির মধ্যে ৩৮ শতক ভূমির দলিলমূলে সীমানা নির্ধারন করে হাসারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ভবণ নির্মাণের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয়ের পাশে ভূমিখেকো আওয়ামী লীগ নামধারী বুরহান মিয়ার বসতভিঠা হওয়ার সুবাদে পেশিশক্তির জোরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতক ভূমি দখল করে দেয়াল দিয়ে বসতভিটা নির্মাণ করে বহাল তবিয়তে চললে ও স্থানীয় কোন অভিভাবকরা তার ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দামকী প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায়।
হাসারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নেজাবুল হক শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনের তরফ থেকে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সঠিক জায়গাটি মাফযোগের মাধ্যমে নির্ধারণ করার পাশাপাশি দখলকৃত জায়গাটি উদ্ধারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বুরহান মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জায়গা তার দেয়ালের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করা যায় সেই বিষয়ে গ্রামের মাতব্বরদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সুরাহা করতে চাই।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম খান বলেন, সার্ভেয়ার পাঠানো হবে মাফযোগ করার পর বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের বিষয়টি প্রমানিত হলে দখলকৃত জায়গাটুকু ফেরত আনা হবে।
তিনি ইতিমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এবং দ্রুুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ার পাঠানো হবে এবং বিদ্যালয়ের জায়গাটুকু মেজারমেন্ট করে দখল প্রমানিত হলে জায়গাটুকু উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/শহীদনুর/এসডি-৪৪২