সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংযোগসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রস্তাব জমা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। মহানগরের লাক্কাতুরা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সংযুক্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।
 

সূত্র জানায়, সিলেট মহানগর থেকে বিমানবন্দরের সঙ্গে একমাত্র সংযুক্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। সাড়ে ৯ মিটার প্রশস্ত এ সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করেন লোকজন। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংযোগসড়কটি দুই লেন হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুনাম ক্ষুন্ন  হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 


সড়ক ও জনপথের সড়ক সার্কেল (সিলেট)-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির সম্প্রসারণ কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংযোগসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ চাপ মোকাবিলায় দেশের অন্যান্য অবকাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে সংযোগসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কমিশন কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে পুনরায় প্রস্তাবটি দিতে বলেছে।
 

সওজের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত সংযোগসড়কটি বড়শালা থেকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ এবং কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক দুটি শুরু হয়েছে। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কটি এরই মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক মানে রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়কটিরও চার লেনবিশিষ্ট রিজিড পেভমেন্টের কাজ চলমান আছে। সার্বিক বিবেচনায় বিমানবন্দর সড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৩০৮ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পটির ডিপিপিতে কিছু ব্যয় অযৌক্তিক মনে হওয়ায় সেগুলো যৌক্তিক করতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত ডিপিপিতে ৫ কিলোমিটার সড়ক ট্রিটমেন্ট বাবদ ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ইউটিলিটি (গ্যাস-বিদ্যুৎ লাইন) শিফটিং বাবদ থোক বরাদ্দ হিসেবে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়। সিলেটে পাহাড়ি ও শক্ত মাটি হওয়ায় সয়েল ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না, থাকলে কোনো পদ্ধতিতে সয়েল ট্রিটমেন্ট হবে এবং ইউটিলিটি শিফটিংয়ের ফলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবহার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় জমা দিতে বলা হয়েছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম /এসডি-৫৩৬