নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের বিষয়। আমাদের আহ্বান হলো সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
 

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইসি আলমগীর।
 


এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে, আমরা যে শিডিউল ঘোষণা করেছি, তাদের সুবিধার্থে নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করব। তবে খেয়াল রাখতে হবে সংবিধান অনুযায়ী যে কাট-অফ ডেট রয়েছে সেটার বাইরে যেতে পারব না। এই সময়সীমার মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
 

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন সবসময় তাদের (বিএনপিকে) ওয়েলকাম করি। তারা যখনই নির্বাচনে আসার সম্মতি প্রকাশ করবে তখনই আমরা সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে সরকার গঠিত হোক।
 

মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরে সেটা সংখ্যালঘু হোক, প্রার্থী হোক, সাধারণ ভোটার হোক বা যেই হোক না কেন সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের আগে ও পরে সজাগ থাকবে।
 

আগের নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনের পরের দুদিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিল, আমরা এবার নির্বাচনের পরে ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে থাকতে বলেছি।
 

তিনি আরও বলেন, যিনি প্রার্থী হবেন, যিনি ভোটার সবাই আচরণবিধি মেনে তার রাজনৈতিক যে অধিকার রয়েছে তা প্রয়োগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে কাউকে কেউ বাধা দিতে পারবে না। যদি কেউ বাধা দেয় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে যদি রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেন এবং তা যদি নির্বাচন কমিশনারের নজরে আসে তাহলে সে বিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
 

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহাগ হোসেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৬৭৫


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট