সিলেটে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় জেলার প্রায় সবকটি আসনেই ‘স্বতন্ত্র’র ব্যানারে প্রার্থী হচ্ছেন মনোনয়নবঞ্চিতরা। ফলে নৌকার মাঝিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। 

 



এদিকে, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নবঞ্চিতরা একাট্টা হয়ে একজনকে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিভিন্ন আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন। 

 


বিএনপিবিহীন নির্বাচনে দলীয় টিকেট পেলেই বিজয় নিশ্চিত এমনটা ধরে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। কিন্তু মনোনয়ন প্রদানের দিন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় সেই হিসেব উল্টে গেছে। 

 


মনোনয়নবঞ্চিতরা নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন। নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একজনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। যেসব আসনে বঞ্চিতদের মধ্যে সমঝোতা হয়নি সেসব আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে একাধিক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন নৌকার মাঝিরা। 

 


মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেট জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। 

 


এখন পর্যন্ত যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। ওই আসনে এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মিসবাহ সিরাজ এবার সিলেট-১ ও ৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সিলেট-১ আসনেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

 


সিলেট-২ আসনে এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। 

 


সিলেট-৩ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সেক্রেটারি আবদুর রকিব মন্টু। 

 


সিলেট-৪ আসনে বর্তমান সংসদ ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে মনোনয়নবঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাপ মিয়া নির্বাচন করার গুঞ্জন রয়েছে। 

 


সিলেট-৫ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। আসনটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। 

 


সিলেট-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন। 

 


এর মধ্যে মঙ্গলবার সিলেট-৩ আসনে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ও আবদুর রকিব মন্টু এবং সিলেট-৫ আসনে ড. আহমদ আল কবীর নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/শাদিআচৌ-০২