সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। এবার এয়ারবাসেই ভর করবে বাংলাদেশ বিমান। একাধিক অফার থাকায় সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করেই কেনা হবে উড়োজাহাজ। বহরে দুই সংস্থার উড়োজাহাজ থাকলে সুনাম বাড়বে বলে মনে করছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর এয়ারবাসের সমন্বয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে লাভজনক করতে তুলনামূলক বড় বিমান এড়িয়ে চলার পরামর্শ তাদের।

 



দেশের এভিয়েশন খাতের পথচলার অন্যতম কান্ডারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। পাঁচ দশক পেরিয়ে বাংলাদেশ বিমান এখন সুবর্ণ বলাকা। একে একে বহরে যোগ হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজ। নতুন রুটের পাশাপাশি অব্যাহত রয়েছে পুরানো রুটে ডানা মেলা। যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে নতুন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ। সম্ভাবনা নানামুখী কিন্তু সংকট পর্যাপ্ত উড়োজাহাজের।

 

তথ্য বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টিই বোয়িং কোম্পানির। বাকি পাঁচটি রয়েছে কানাডার। তবে এবার নিজ বহর আরও দীর্ঘ করতে বিমানের চোখ শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের দিকে।


এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল হক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এয়ারবাসের এ-৩৫০ মডেলের একেকটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের দাম হতে পারে প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা। বোয়িংয়ের ৭৭৭ ও ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের সাথে টেক্কা দিতেই এ মডেল তৈরি করে এয়ারবাস। যার পরিচালন ব্যয় আগের অন্যান্য বিমানের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত