বিশ্ব ভ্রমণের নেশা অনেকরই। আর তাইতো সময় সুযোগ পেলে তল্পিতল্পা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। যতদিন যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের প্রবণতা তত বাড়ছে। কিন্তু বেড়াতে গেলেই তো হল না, নিজের নিরাপত্তার কথাটাও ভাবতে হবে। দেশ তো বটেই, বিদেশেরও কিছু স্থানে যাওয়া মানেই প্রাণের ঝুঁকি। অতএব, ছুটির পরিকল্পনা করার আগে, যেখানে যাবেন সেখানকার পর্যটক নিরাপত্তা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া জরুরি।
অস্বীকার করা যায় না যে, এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানকার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে, সেখানে দেশের মানুষই নিরাপদ নন। পর্যটকদের কথা না হয় বাদই দিলাম। সেসব দেশে বেড়াতে যাওয়া যেমন অসুরক্ষিত তেমনই ভীতিকর। তাই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন সতর্কভাবে।
বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার আগে সেই দেশ আপনার জন্য আদৌ নিরাপদ কিনা তা আগে নিশ্চিত করুন। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজও অনেক দেশে অপহরণ, নাগরিক অস্থিরতা, বিভিন্ন অপরাধের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হবে। সম্প্রতি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বেশ কয়েকটি অসুরক্ষিত দেশের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। চলুন তাহলে সেই দেশগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিই।
ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলা এমন একটি দেশ যা এখনও অপরাধ এবং অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। এই দেশে যাওয়া মানেই প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা। তাই ঝুঁকি এড়াতে ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
সোমালিয়া
কেউ যদি সোমালিয়া যাওয়ার কথা ভাবেন, তাহলে সেই পরিকল্পনা এখুনি বাতিল করুন। কারণ এই দেশ অপরাধ এবং সন্ত্রাসের থাবায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই দেশটি এখন পর্যটকদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক গন্তব্য। সন্ত্রাসাদীরা কখন এবং কোন সময়ে বোমা হামলা চালাবে তা কেউ জানে না।
হাইতি
হাইতিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশকে ক্রীতদাসের দেশও বলা হয়। প্রতিনিয়ত অপহরণ এবং অস্থিরতা মোকাবেলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এই দেশ। হাইতিতে দারিদ্র্য এতটাই বেড়ে গেছে যে অপহরণ, অপরাধ এবং নাগরিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো এখানে খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউক্রেন
ইউক্রেন একটি খুব সুন্দর দেশ। রাশিয়ার পরে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এটি। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে এক সময় এটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই দেশ রাশিয়ার আগ্রাসনের সঙ্গে লড়াই করতে ব্যস্ত। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে এখানে অপরাধ প্রবণতা এবং নাগরিক অস্থিরতার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। আর এই কারণেই পর্যটকদের এখানে যাওয়ার আগে সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে চলমান সংঘর্ষের কারণে, বিমান নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এখানকার সমস্ত ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত