মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে বিসমিল্লাহ্ ক্লথস্টোর থেকে কিনে নেয়া কাপড় পরিবর্তন করাতে এসে দোকানে কর্মরতদের হামলায় মহিলাসহ ১ ক্রেতা রক্তাক্ত হয়েছেন। এঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শমশেরনগর বাজারের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শমশেরনগর বাজারের স্টেশন রোডে বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর থেকে কিনে নেয়া কাপড় পরিবর্তন করানোর জন্য ইফতারের পূর্বে দোকানে আসেন মহিলা ক্রেতা। এসময় বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরের মালিক আব্দুল মন্নানের ছেলে নোমান মিয়া বিক্রিত কাপড় পরিবর্তন করা যাবে না বলে মহিলা ক্রেতাকে সরিয়ে দেন। এসময় মহিলা ক্রেতা তাঁর মেয়েকে ফোনে বলেন, তুই কাপড় কিনেছিস, এটি ছোট হয়ে গেছে। এখন দোকানে এসে কাপড় পরিবর্তন করে নিয়ে যা। এরপর মহিলা ক্রেতা আবারও কাপড় পরিবর্তন করতে অনুরোধ করলে দোকানীরা ধাক্কা দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানীরা ঝাড়– ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে খাতুনা বেগম (৬৫) ও নূরুল ইসলাম (৪২) কে রক্তাক্ত করে।
অবস্থা দেখে ক্রেতারা প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসময়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে রাত সাড়ে ৮টায় দোকানের মালিক আব্দুল মান্নানকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে পেয়ে উত্তেজিত জনতা হাতাহাতি শুরু করেন।
খবর পেয়ে আহত মহিলার আত্মীয়স্বজন ও শতাধিক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। দোকান মালিক ও কর্মচারীদের পাল্টা হামলার চেষ্টা করছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। শমশেরনগর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরে এটি নতুন ঘটনা নয়। এরা আরো ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরন করেছে।
আহত মহিলা খাতুনা বেগমের ছেলে খসরু মিয়া বলেন, আমার আম্মা কাপড় পরিবর্তন করার জন্য নিয়ে আসেন। তাদের বিক্রি করা কাপড় ছোট হয়ে যাওয়ায় সেটি পরিবর্তন করতে চান। তারা কাপড় পরিবর্তন না করেই ঝাড়– ও কাঠের রোল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এটি কোন সময়েই মেনে নেয়া যায় না। এঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে শমশেরনগর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলেছি। সুষ্ঠু সমাধা হওয়ার পর দোকান খোলা হবে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি (নি:) শামীম আকনজি বলেন, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর বন্ধ রয়েছে এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। রাতের মধ্যেই যদি সুষ্ঠু সমাধা না হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
সিলেটভিউ২৪ডটকম / জয়নাল / মাহি