কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কোয়ার্টারের ৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের কাচের জানালা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় থাকা কর্মচারীদের আরও অন্তত ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 



রবিবার রাতে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টিতে এসব ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে যায়। ঝড়ে কিছু ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের কোয়ার্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে। 

 

জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রায় ২০০ থেকে আড়াইশো গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি হয় সিলেট নগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই ভারী ওজনের শিলায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের টিনের চাল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম ভোগাান্তিতে পড়েছেন অভিভাবকরা। 

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাবিতে কর্মচারীদের কোয়ার্টারের মধ্যে লন্ডনী কোয়ার্টারের ৩৬টি ঘর, গিফারী চত্বরের পার্শবর্তী কোয়ার্টারের ৮টি ঘর, ছাত্রী হলের পাশের কোয়ার্টারের ১০টি ঘর, স্নিগ্ধা কোয়ার্টারের ২টি, কেন্দ্রীয় মাঠসংলগ্ন ২টিসহ ৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব ঘর আধাপাকা হওয়াতে টিনের চালের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজের টিনের চাল পুরোটাই বিকল, শাহপরাণ হলসংলগ্ন মসজিদ, লন্ডনী কোয়ার্টারের মসজিদ ও দ্বিতীয় ছাত্রী হলসংলগ্ন মসজিদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

 

তাছাড়া আইআইসিটি ভবনের কাচের দেয়াল, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোর উত্তর দিকের দেয়ালের কাচের জানালাগুলো অধিকাংশই শিলার আঘাতে ভেঙ্গে গেছে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইফাই, ল্যাব ও সিসি ক্যামেরা ও গাড়ির কাচের ক্ষতি হয়েছে। 

 

সোমবার দুপুরে কোয়ার্টারগুলো ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া লেপ-তোশক বিছানা শুকাতে দিচ্ছেন কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা। কেউ টিনের চাল ফুটে হয়ে যাওয়া অংশে সাময়িক সময়ের জন্য বৃষ্টিরোধক হিসেবে পলিথিন লাগাচ্ছেন। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সংগঠনের নেতারা বলছেন, কোয়ার্টারের সকল ঘর মেরামতের খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. কবির হোসেন সিলেটভিউ’কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নের সকল কর্মচারী কোয়ার্টারগুলো মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই ভালো মানের নতুন টিন ও মিস্ত্রির খরচসহ যাবতীয় কিছু সরবারহ করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ হল, একাডেমিক ভবনসহ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শনাক্ত করে মেরামত করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান