বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হামজা চৌধুরী পাসপোর্টের আবেদন করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে তাঁর বাবা জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের লেস্টার সিটির এই ফুটবলারের বাবা মোরশেদ দেওয়ান জানিয়েছেন, আমরা হামজার বাংলাদেশী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এরই মধ্যে হামজার পাসপোর্টের প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
তিনি আশাবাদী এ ব্যাপারে বাফুফে সহায়তার হাত বাড়াবে। এতে হামজা দ্রুতই বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (১৫ মে) লন্ডনে অবস্থিত বংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদন করেন হামজা চৌধুরী। এসময় ২৬ বছর বয়সী এই লেস্টার সিটির মিডফিল্ডারের সঙ্গে ছিলেন তার মা। এসময় প্রয়োজনীয় দু-একটি কাগজ জমা দিতে বলা। প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিলে হামজা পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত লাল সবুজের পাসপোর্ট।
জানা যায়, ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হামজা চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বসয় ভিত্তিক দলে খেললেও বর্তমানে খেলছেন যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব লেস্টার সিটিতে। যদিও এবার হামজারা প্রথম স্তরের লীগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নিজেদের উত্তীর্ণ করেছেন। বাংলাদেশী এ বংশোদ্ভূত মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা৷ তিনি এও বলেন, “ আজ হোক, আর কাল হোক, হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবে”। এর ফলাফল ঠিক মিলেছে হামজা চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন—‘এটা নিশ্চিত আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলব’। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার মাকে নিয়ে হামজা চৌধুরী বাংলাদেশী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে বিট্রিশ হাইকমিশনে গিয়েছেন। সেখানে পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন। তবে কিছুটা বিড়ম্বনার কথা হামজার বাবা জানালেও তিনি আশাবাদী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহায়তা পেলে দ্রুত এর সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীদের মতো সহযোগিতা করতে মুখিয়ে আছে বাফুফে। বাফুফে সবধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে- হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে জাতীয়তার সঙ্গে ফিফা থেকে ফেডারেশনও পরিবর্তন করতে হবে। সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতই বাংলাদেশের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ মাতাবেন এ মিডফিল্ডার- এমন প্রত্যাশা দেশের কোটি কোটি ফুটবল প্রেমিদের।
এর আগে হামজা ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন। তবে ফিফার নিয়মানুযায়ী, যেহেতু ২১ বছর বয়সের পর তিনি ইংল্যান্ডের জার্সিতে (বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল) খেলেননি, তাই তাঁর বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বাধা নেই। আর অন্য শর্তগুলোও পূরণ করা হামজার ক্ষেত্রে কঠিন কিছু নয়।
হামজার জন্ম যুক্তরাজ্যে হলেও তাঁর মা বাংলাদেশি। মায়ের বাড়ি ছিল সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে। মায়ের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন অসংখ্যবার। সিলেটেও ঘুরে গেছেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/মুন্না/মিআচৌ