‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে ‘নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’-এর ৩৩তম আসর।
আসছে ২৪ মে নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ মেলা ঘিরে চলছে আয়োজক-লেখক-প্রকাশকদের নানা প্রস্তুতি।
মেলা আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি জানাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজক সংগঠন ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’।
তারা জানায়, আসছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় খোলামঞ্চে বৃন্দগান আর নৃত্যের মাধ্যমে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। পরদিন শনিবার সকাল ১১টা থেকে একইভাবে রাত ১১টা পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ ও ভেতরের মূলমঞ্চ। এদিনের সেমিনারের বিষয় হচ্ছে ‘১৯৭১ এর জেনোসাইড কেন এখনো স্বীকৃত নয়’।
রোববার অনুষ্ঠেয় কর্মসূচির অন্যতম হচ্ছে ‘প্রবাসের সাহিত্য মূল্যহীন’ শিরোনামে সেমিনার। কথোপকথনে থাকবে ‘বাংলা নাটকের এদিন সেদিন’। সমাপনী দিবসের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ‘কীভাবে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করবেন’ শিরোনামে আলোচনা সভা।
আয়োজক সংগঠন ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান কার্যনির্বাহী বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “বাংলাদেশ ও কলকাতার পর নিউ ইয়র্কে বাংলা বইমেলা হচ্ছে তৃতীয় বৃহত্তম মেলা। এবারের মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী লেখকদের প্রকাশিত ১০ হাজার বই নিয়ে মেলায় অংশ নেবে ৪০টি স্টল।”
মেলা কমিটির চেয়ারপারসন মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী জানান, এবারের মেলা উপলক্ষ্যে প্রবাসী লেখকদের ২০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া মেলায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
মেলা কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, “এবারের মেলায় প্রবাস প্রজন্মকে আরো নিবিড়ভাবে জড়িত করার প্রয়াস থাকবে। প্রবাসে জন্ম নেওয়া অথবা বেড়ে উঠা কবি, সাহিত্যিক-লেখক-সাংবাদিক-শিল্পী-অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আসবেন। নতুন প্রজন্মের ৪ কবি, ৪ লেখক, ৩ জন রন্ধন বিশেষজ্ঞ এবং ৩ ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ কথা বলবেন।”
মেলায় আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় রয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দে, কথাসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী ও সারা যাকের, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, অভিনেতা আফজাল হোসেন, ওয়াশিংটন ডি.সিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং নিউ ইয়র্কে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা প্রমুখের নাম।
মেলা কমিটির কর্মকর্তা গোলাম ফারুক ভূইয়া বলেন, “এই মেলার মধ্যদিয়ে লেখক, সাহিত্যিক ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। এর অন্যতম হচ্ছে ‘মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’, যার অর্থমান তিন হাজার ডলার। সেরা বইয়ের জন্য দেওয়া হয় ‘কবি শহীদ কাদরী স্মৃতিগ্রন্থ পুরস্কার’, যার অর্থমান এবার বাড়িয়ে ৫০০ ডলার থেকে এক হাজার ডলার করা হয়েছে। তৃতীয় পুরস্কার ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশনা পুরস্কার’ দেওয়া হয় মেলায় অংশ নেওয়া স্টলগুলোর মধ্যে সেরা স্টলকে।”
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান