সিলেট মহানগরের সড়ক-রাস্তাগুলো থেকে বৃষ্টির জমা পানি দ্রুত নিষ্কাশনে ড্রেনের পকেট বড় করছে সিটি করপোরেশন। সিসিক কর্তৃপক্ষের দাবি- অতীত অবস্থা পর্যালোচনা করে আবার ড্রেনের পকেট-মুখ বড় করা হচ্ছে।
তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে একই জিনিসে বার বার উন্নয়ন বা সংস্কারকাজ করায় সিসিকের সমালোচনাও করছেন অনেকে।
জানা যায়, মহানগরের প্রধান প্রধান রাস্তা ও ড্রেন প্রশস্তকরণ কাজ ২০২০ সালে শুরু করে ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এর মধ্যে রাস্তা প্রশস্তকরণে সুফল এলেও নতুন ড্রেনগুলো অতিবৃষ্টির সময় পানি নিষ্কাশনে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় হাটুজল। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে অনেক সময়ই জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হয় নগরবাসীকে। ফলে গত বছর কাজ শেষ হওয়ার পর আবার সম্প্রতি প্রধান প্রধান সড়কের কয়েকটি ড্রেনে পানির প্রবেশমুখ বড় করার কাজ করছে সিসিক। তিন-চার দিন ধরে মহানগরের বিভিন্ন রাস্তায় ড্রেনে পানির প্রবেশমুখ কেটে বড় করতে দেখা গেছে সিসিক শ্রমিকদের।
২০২২ সালে দুই দফা বন্যায় নগরবাসী জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অথচ এর আগের বছরই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে সিসিক ১২৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এ নিয়ে এক যুগে সিলেট শহরের খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারে কম করে হলেও হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবু সুফল না মেলায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয় সিসিক। গত মার্চে রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়কে কালভার্ট বড় করে এবং চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়কের সিভিল সার্জন অফিসের সামনে থেকে দরগা গেটের মূল ফটকের সামনে পর্যন্ত রাস্তার নিচে বড় ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। একই সময়ে সোবহানীঘাট মোড় এলাকার রাস্তাও বড় করে ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় সাড়ে ৪০০ কোটি।
এ বিষয়ে সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন- সময়ের প্রয়োজনেই আবার এ কাজ করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত পানি রাস্তা থেকে ড্রেনে পড়তে পারে। আগে মনে হয়েছিলো- পকেট-মুখ যে পরিমাপের বড় রাখা হয়েছে তা যথেষ্ট। কিন্তু সেটি যথেষ্ট না হওয়ায় আরও বড় করা হচ্ছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর /এসডি-৩০৫০