সিলেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্যাসে মজুদ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে সম্প্রতি শেভরন জানিয়েছে, বিবিয়ানা, জালালাবাদ ও মৌলভীবাজার গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাসের মজুদ বেড়েছে প্রায় আধা ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)।
 

মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জমা দেয়া শেভরন করপোরেশনের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজার্ভের ব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন ক্ষেত্রে গ্যাসের মজুদ বেড়েছে ৪৮১ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। তবে কোন গ্যাস ক্ষেত্রে এ মজুদ কী পরিমাণে বেড়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার একটি সূত্র জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রে এ মজুদ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
 


সিলেট অঞ্চলে কাজের পরিধি বাড়াতে ২০২২ সালের অক্টোবরে পেট্রোবাংলার সঙ্গে তিনটি চুক্তি করে শেভরন। চুক্তির আওতায় কোম্পানিটি বিবিয়ানায় নতুন জায়গা পায়। মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়ে নেয় কোম্পানিটি। বর্তমানে জালালাবাদ ও বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা রয়েছে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। আর মৌলভীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে গত বছর বিবিয়ানায় মূল্যায়ন কূপ (বিবিয়ানা-২৭) খনন করে তারা। বর্তমানে এ কূপের ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
 

শেভরনের দুটি গ্যাস ক্ষেত্রের প্রাক্কলিত মজুদ ফুরিয়ে গেলেও সবগুলোয় উৎপাদন আগের মতোই রয়েছে। বিশেষ করে বিবিয়ানা গ্যাস উত্তোলনে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বর্তমানে গ্যাসের মজুদ শেষ হলেও তিনটি ফিল্ড থেকে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ২৮৮ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ) গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিবিয়ানা থেকে ১ হাজার ১৫ এমএমসিএফ, মৌলভীবাজার থেকে ১৬ এমএমসিএফ ও জালালাবাদ থেকে ১৫৭ এমএমসিএফ (২১ মে গ্যাস উত্তোলন প্রতিবেদন অনুসারে) গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে।
 

জ্বালানি বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৬১২ বিসিএফ (২পি রিজার্ভ অনুসারে)। সংস্থাটির হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগের মজুদ প্রাক্কলন অনুযায়ী, বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে মজুদ শেষ। আর মৌলভীবাজারে গ্যাসের মজুদ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল ৭৭ বিসিএফ। যদিও এরই মধ্যে এ গ্যাস ফিল্ডের মজুদও কমে গেছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি /এসডি-৪০৩৭