অভিবাসীদের নাগরিকত্বের পাওয়ার বর্তমান শর্তগুলো আরো কঠোর করতে চায় নেদারল্যান্ডসের নতুন জোট সরকার। এছাড়া কর্মভিসায় আসা অভিবাসীর সংখ্যা এবং সে দেশে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর হারও কমিয়ে আনতে চায় দেশটির সরকার।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ডাচ নির্বাচনে আগের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। কয়েক মাস আলোচনার পরে নেদারল্যান্ডসের চারটি রাজনৈতিক দল, পিভিভি, ভিভিডি, এনএসসি এবং বিবিবি জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়।
নতুন এই জোট সরকার অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার শর্ত কঠোর করার পরিকল্পনা করেছে।
সরকারের পরিকল্পনায় যা রয়েছে:
নাগরিকত্ব আবেদনের শর্ত হিসেবে অভিবাসীদের নেদারল্যান্ডসে ন্যূনতম ১০ বছর বৈধভাবে বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে। বর্তমানে যা পাঁচ বছর।
নাগরিকত্বের শর্ত হিসেবে ডাচ ভাষা দক্ষতা বি-১ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান নিয়মে এ-২ সমমানের দক্ষতা দিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন অভিবাসীরা।
নতুন চারদলীয় জোট সরকার শীঘ্রই ক্ষমতা গ্রহণের কথা রয়েছে। নতুন এই জোট নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের মেয়াদ এবং ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডাচ জাতীয়তা নিতে ইচ্ছুকদের মূল জাতীয়তা ত্যাগের বিষয়টিও প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অন্য দুটি শর্তের মতো এটি নিয়ে জোর দেয়া হয়নি।
নাগরিকত্বের আবেদনে নেদারল্যান্ডস সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় হলোকাস্ট এবং এর ফলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের নিয়ে প্রশ্ন যুক্ত করার কথাও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মোট ৪৭ হাজার ৮৯০ জন ডাচ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে এই হিসেবে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান যুক্ত করা হয়নি। যেখানে প্রায় ৩৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী এবং ১৩ হাজার শিশু রয়েছে।
২০২২ সালের একই সময়ে যা সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১৭০ জন।
জোটের অংশীদার রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, তারা অভিবাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ আরো এক ধাপ কঠোর করতে চায়। তারা দেশে শ্রম অভিবাসনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সীমিত করতে চায়।
এছাড়া নতুন জোট শরণার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা বাতিল এবং কাজের ভিসা পেতে কঠোর শর্ত চালু করতে চায়।
জোটের মতে, যেসব দেশ ইইউ-এর অংশ নয়, সে দেশের নাগরিকেরা যদি হাই স্কিল্ড বা উচ্চমাত্রায় দক্ষ না হন, সেক্ষেত্রে ডাচ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য আরো কঠোর শর্ত পূরণ করতে হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / এন.এ.পি/ নোমান