টিলার মাটি ধসে সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীভাগ আবাসিক এলাকায় এখনো চাপা পড়ে আছেন ৩ জন। তারা হলেন- আগা করিম উদ্দিন (৩১, তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি (২৫) ও ছেলে নাফজি তানিম (২)। সোমবার (১০ জুন) ভোর ৬টায় চামেলীভাগ এলাকার ২ নং রোডের ৮৯ নং বাসাটি মাটির নিচে চাপা পড়ে।
আগা করিম ওই এলাকার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে।। দুর্ঘটনায় মাটিচাপা পড়েছিলেন একই পরিবরের মোট ৯ জন। ৩ জন ছাড়া বাকিদের উদ্ধার করা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আহত। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুর ১২টা পর্যন্তও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। সাড়ে ১১টার দিকে এ কার্যক্রমে অংশ নেয় সেনাবাহিনীর ৩টি টিম।
জানা গেছে, উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে হাতে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে।
সিসিকের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম সিলেটভিউ-কে বলেন- ঘরটি টিলার নিচেই ছিলো। ভারী বৃষ্টিতে মাটি গলে ভোর ৬টার দিকে বিকট শব্দে টিলা ধড়ে পড়ে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের মা ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৯ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে ৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে এক যুবক, তার স্ত্রী ও তাদের ২ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন। রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বৃষ্টিও কাজে বাগড়া দিচ্ছে।
এদিকে, মেডিকেল চেকআপের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার পরই বন্যার কবলে পড়ে সিলেট মহানগর। নগরবাসী প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ায় মেডিকেল চেকআপ পুরোপুরি শেষ না করেই আজ সিলেট ফিরে এসেছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিসিক মেয়র একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পেঁছেন। পরে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি সিসিক মেয়র ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম