ছবি- সংগৃহিত
সিলেটের বিভিন্ন স্থানে শেষ রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতও। এতে দুর্ভোগ নেমেছে নগরীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। বৃষ্টির বাগড়ায় হঠাৎ ক্রেতা কমে যাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে আসা বেপারীরা।
আজ রোববার (১৬ জুন) সকালে যথারীতি সিলেটের আকাশে মেঘের দাপটে চলে যায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি নামে। ক্ষণে ক্ষণে মেঘের গর্জনে কেঁপে উঠছে আকাশ।
এদিকে, হঠাৎ বৃষ্টিতে কাদামাটি হয়ে যায় কোরবানির পশুর হাট। কিছু কিছু অংশে ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় পশুগুলোকে ভিজতে দেখা গেছে। ভিজছেন বিক্রেতারাও। অনেককে ত্রিপল দিতেও দেখা যায়।
এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত মহানগরের ৮টি স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। মহানগরের টুকেরবাজার (তেমুখী পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা), মাছিমপুর কয়েদির মাঠের খালি জায়গা, মেজরটিলা বাজার-সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহপরাণ পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহী ঈদগাহস্থ খেলার মাঠের পেছনের অংশ, সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন এস ফল্ট মাঠ ও দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন ট্রাক টার্মিনালে কুরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে এবার কোরবানির ঈদে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১ পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে বিভাগজুড়ে জবাইয়ের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু।
এদিকে নগরীর নির্ধারিত পশুর হাট থাকলেও নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে পশু বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এতে তৈরী হচ্ছে যানজট। আর ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। অবৈধ পশুর হাট ও রাস্তাঘাটে পশু দাড় করিয়ে বেচা-বিক্র বন্ধে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তৎপর রয়েছে সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষও।
তবে এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, নগরীতে নির্ধারিত পশুর হাট ব্যতিত অবৈধ হাট কেউ বসালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের টিমগুলো কাজ করছে। একই কথা জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশেনের জনসংযোগ বিভাগ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি