মান্দা ভাব কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত জমে উঠেছে গোলাপগঞ্জে কোরবানি পশুর হাটগুলো। উপজেলার ৩৩টি হাটে চলছে জমজমাট পশু বেচাকেনা। এতে খুশী গরু-ছাগল নিক্রেতারা। তবে গরুর দাম হঠাৎ নেমে যাওয়ায় অনেকটা হতাশ খামার মালিক ও মৌসূমী গরু ব্যনসাশীরা। লোন নিয়ে ব্যবসা করার ফলে তারা এবার পড়তে পারেন লোকসানের মূখে।
রবিবার উপজেলার পুরকায়স্থ বাজার, গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজ মাঠ সহ কয়েকটি কোরবানির পশুর হাট সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। এদিকে রোববার বিকেলে উপজেলার পুরকায়স্থ বাজারে পশুর হাটে ২ লাখ টাকা দামের বিশালাকার একটি গরু দুইজন ক্রেতা ক্রয় করতে চাইলে ঘটে বিপত্তি। দুইজনই একই দামে ক্রয় করতে আগ্রহীন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ডাকা হয় বাজারের ইজারাদারকে। পরে ইজারাদার সেলিম উদ্দিন এসে লটারীর মাধ্যমে গরুটি ক্রেতার হাতে তুলে দেন। এনিয়ে বাজারে দেখা দেয় দারুন চাঞ্চল্য।
জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে একেবারে মান্দভাব ছিল উপজেলার পশুর হাটগুলো। উপজেলার ৩৩টি পশুর হাটে ছিল একেবারে বেচাকেনা কম। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন খামারী, মৌসূমী গরু ব্যবসায়ী এবং বাজারের ইজারাদার। কিন্ত শেষ মূহুর্তের রোববার পশুর হাটগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠে।
পশুর হাটগুলোতে শত শত গরু ছাগল উঠেছে। দামও ছুল সহনীয় পর্যায়ে। দাম স্থিতিশীল থাকায় লেকজন গরু ছাগল ক্রয় করছেন। তবে গরুর দাম কম হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন খামারী ও মৌসূমী গরু বিক্রেতারা। অনেকে লো করে গরুর ব্যবসা করলেও তারা পড়তে পারেন লোকসানের মূখে। রোববার বিকেলে উপজেলার লক্ষণাবন্দের পুরকায়স্থ বাজার পশুর হাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শত শত দেশী গরু। এ হাতে কোথাও ছিলনা তিল ধরনের ঠাই। গরুর হাটের জন্য নির্ধারিত স্থান ছাপিয়ে মুল বাজার ও রাস্তার দুপাশে লোকজন গরু নিয়ে বসেছিল।
বাজারে ইজারাদার সেলিম আহমদ জানান, ঈদের শেষ মূহুর্তে বাজার মোটেমূটি চাঙ্গা হয়েছে। গরু ছাগল বাল বিক্রি হচ্ছে। অপর ইজারাদার সুজন চন্দ্র শর্মা জানান, গত কয়েকদিন একেবারে ব্যবসা মান্দা ছিল। এখন শেষ পর্যায়ে গরু ছাগল ভালই বিক্রি হচ্ছে৷
এদিকে বাজারে ২লক্স টাকা দামের বিশাল একটি গরু নিয়ে ঘটে বিপত্তি। নিজাম উদ্দিন নামে একজন বিক্রেতা গরুটি বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছিলেন। এসময় একই দামে দুইজন ক্রেতা গরুটি নিতে চাইলে ঘটে বিপত্তি। পরে লটারীর মাধ্যমে লক্ষণাবন্দ ক্লাব পয়েন্ট এলাকার শামীম আহমদ নামে এক ক্রেতার হাতে গরুটি তুলে দেয়া হয়।
ভাদেশ্বরের শেখপুর থেকে গরু কিনতে আসা আলহাজ নুরুল আম্বিয়া জানান, গরুর দাম তুলনামূক কম হওয়ায় মানুষ গরু-ছাগল ক্রয় করতে পারছে। পৌরসভার টিকরবাড়ী গ্রাম থেকে আসা মোঃ মোবাইয়িন আহমদ জানান, আমি গোলাপগঞ্জ থেকে এসেছি গরু কিনতে। দরদাম করছি। গরুর দাম মোটামুটি কম মনে হচ্ছে। বাজারে বড় বড় গরু উঠেছে। অপরদিকে বাজারে ভেটেনারি মেডিকেল টিম ছিল সর্বক্ষণিক।।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / হারিছ / ডি.আর