গোলাপগঞ্জে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়ন প্রকল্পে কোরবানির মাংস বিতরণ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
সোমবার গরু কোরবানি দেয়ার পর বিকেল নিজে গাড়ী নিয়ে নিজ হাতে অসহায় ও এসব গরীব মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন তিনি৷
এসময় তাকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন আশ্রয়ন প্রকল্পের এসব অসহায় লোকজন। এসময় মাংস হাতে পেয়ে ষাটোর্ধ সোনাহর আলী নামে এক ব্যক্তি ইউএনও'কে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ইউএনও'র এমন মানবিক কর্মকান্ডে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, আমি সবসময় গরীব মানুষকে ভালবাসি। তাই এ ভালবাসা থেকে আমি মাংসগুলো বিতরণ করেছি। এসব মানুষের মধ্যে আমি মাংস দিতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি।
জানা যায়, সোমবার সকালে কোরবানি ঈদের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন সহ অপর ২জন সরকারী কর্মকর্তা মিলে দেড় লক্ষ টাকা দামের একটি বড় গরু কোরবানি দেন। এরপর ৩জনের মধ্যে মাংস গুলো ভাগ-বাঁটোয়ারার পর ইউএনও আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন তার ভাগ থেকে কিছু মাংস রেখে দেন আশ্রায়ন প্রকল্পে বসবাসকারী লোকজনের জন্য।। বিকেলে এ মাংস গুলো নিয়ে নিজেই উপজেলার ঢাকাদক্ষিণের সোনামপুর এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ন প্রকল্পে ছুটে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর নিজ হাতে আশ্রন প্রকল্পের ঘরে ঘরে গিয়ে এসব গরীব মানুষের হাতে নিজেই মাংসগুলো তুলে দেন ইউএনও আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। মাংস হাতে পেয়ে খুশীতে আপ্পুত হয়ে ইমা বেগম ইউএনও'কে উদ্যেশ্য করে বলেন, স্যার আমাদের খোজ কেউ নেয়না, আপনি আমাদের খোজ নিয়েছেন। 'আল্লাহ আপনার ভাল করুক''।
শিল্পী বেগম নামে অপর এক মহিলা মাংস হাতে পেয়ে বলেন, 'স্যার আপনার কথা আমাদের মনে থাকবে, আমরা আপনার জন্য দোয়া করবেন'।
আরেক বৃদ্ধা মহিলা শরই বেগম এসময় ইউএনও'কে চা খাওয়াতে উদ্যোত্ত্য হন। এসময় ইউএন বয়োবৃদ্ধ সোনাহর আলীকে মাংস দিতে তার কাছে গেলে ইউএনওকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এসময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/হারিছ/এসডি-৫৩৪২