দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন এডভোকেট, সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মানবজমিনে প্রকাশিত আড়াল হয়ে গেল দুর্নীতি বিরোধী অভিযান! একই তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনে উপ-সম্পাদকীয়তে বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ বুরহান কবির লিখেছেন, এসব তাণ্ডবের গডফাদার কে? এই সংবাদগুলোর জনগুরুত্বপূর্ণ। বেনজীর আহমদের সম্পদের তথ্যে একের পর একে বেরিয়ে আসে হাজার কোটি টাকার সম্পদের খবর। সেই সঙ্গে যোগ হন পুলিশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও এনবিআর এর মতিউর, ফায়সাল, পিএসসি’র প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের নাম। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে, সে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এসকল সংবাদ নিয়ে যখন গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম সহ দেশপ্রেমিক জনগণ যখন তাদের শাস্তির বিষয়ে রাজপথে প্রতিবাদ মুখর, ঠিক তখন ১৬ জুলাই থেকে টানা ৫ দিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপান্তরিত হলো। চলমান জ¦লন্ত অশান্তির কারণগুলো রহস্যের চাদরে ঢাকা। সরকার যদি কোটা সংস্কার আন্দোলনের চেয়ে বেশি হারে কোট বাতিল করবে, তাহলে কেন তিরষ্কার, টিটকারী করা হলো। সবই যদি মেনে নেয়া হবে, কেন দেরী হলো? কোটা সংস্কার আন্দোলন, কারফিউ সহ কয়েক দিনের স্থবিরতায় পোষাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমই-এর সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেছেন, স্থবিরতায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে সরাসরি রপ্তানীতে ক্ষতি হয়েছে ৬ হাজার ৪ কোটি টাকা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, গত এক সপ্তাহে অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন সার্ভিস চালু করতে পারেনি।”
 

তারা বলেন, “মনে রাখতে হবে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে; দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কোট সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে সংঘটিত সংহিসতা ও অচলাবস্থা দেশে অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য এক বড় ধাক্কা। রাষ্ট্রের যে সব স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা মেরামত করতে পারবো; কিন্তু শত শত জীবন ফিরে আসবে না। প্রতিটি ব্যক্তির পেছনে রয়েছে একটি পরিবার, তাদের লালিত স্বপন কখনো পূরণ হবে না। সন্তান হারা মায়ের চোখের জল কখনো শুকাবে না, স্বামীহারা বধূর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে না, পিতৃহারা শিশুর কান্না থাবে না। দেশপ্রেমিক নাগরিকরা মনে করেন, গত মার্চ-২০২৪ মাস থেকে নিয়ে জুলাই মাস পর্যন্ত গণমাধ্যমে আসা বেনজীর, মতিউর, ফায়সাল, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী আবেদ আলীগং চক্র সহ শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি আড়াল করতেই এত প্রাণহানী ও অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটনো হয়েছে “
 


নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অবিলম্বে গণমাধ্যমে আসা আলোচিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাড়াষী অভিযান এখন দেশবাসী দেখতে চায়। দেশবাসী ১৬ জুলাই পরবর্তী নির্মম ও অমানবিক ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮ দফা দাবী দ্রুত মেনে নেয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।’

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৬১৮১