গত সপ্তাহের শনি থেকে বুধবার- সিলেটে জনমনে বিরাজ করছিলো আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কোটা সংস্কার আন্দোলন সিলেটসহ দেশব্যাপী সহিংস হয়ে উঠলে ২০ জুলাই রাতের প্রথম প্রহর থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউয়ের প্রথম দিন ২০ জুলাই (শুক্রবার) থেকে সিলেট মহানগরের রাস্তা-ঘাট হয়ে পড়ে ফাঁকা। জরুরি প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বেরোলে তার মাঝে ছিলো তীব্র ভয়, আতঙ্ক। সন্ধ্যা নামলেই সিলেট যেন ভূতুড়ে শহর হয়ে পড়তো। রাস্তা-ঘাট হয়ে যেতো সুনসান, জনমানবহীন। হুইসেল বাজিয়ে টহল দিয়ে বেড়াতো সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর টিম।
তবে গত সপ্তাহের বৃস্পতিবার থেকে সিলেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কারফিউ চলমান থাকলেও দিনে বেশ কয়েক ঘণ্টা শিথিল করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করে। রবিবার (২৮ জুলাই) দেখা যায় পুরনো চিত্র। সড়কে হর্ন বাজিয়ে ছুটে চলে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন নিজেদের গন্তব্যে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকার কারণে রাস্তায় জনসমাগম আগের মতোই স্বাভাবিক ছিলো। দুপুরে অনেক স্থানে যানজটও দেখা যায়। পথচারীদের চলাচলও ছিলো ভয়-ডরহীন।
তবে কারফিউ চলমান থাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীকে টহল ও তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে ছিলেন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকরা। তবে রবিবার দুপুরের পর এ সেবা চালু হলে তাদের মধ্যেও ফিরে স্বস্তি।
এ বিষয়ে সিলেটে বিদ্যুৎ বিভাগ ও জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গ্রাহকের ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তাৎক্ষণিক রিচার্জের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম