সীমান্ত জনপদ বিয়ানীবাজার উপজেলায় কোটা বিরোধী কোন তৎপরতা নেই। গত ৩-৪ দিন থেকে স্থানীয়ভাবে ভিতরে-ভিতরে কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলেও প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে তা আর সফল হয়নি। তবে সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজারের জনমনেও বেশ উদ্বেগ ছিল।
 

সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরশহরে পুলিশ ও বিজিবির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন বিকেলে কোটা বহাল রাখার পক্ষে শহরে মিছিল বের করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড। মিছিলকারীরা কোটা বিরোধী অপতৎপরতা রুখে দেয়ার দাবী করেন।
 


বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাড়াও উপজেলায় পূর্নাঙ্গ পাঁচটি কলেজ রয়েছে। এর বাইরে আরোও ২টি কলেজিয়েট স্কুলে পাঠদান করা হয়। তবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলো বন্ধ রয়েছে। সিলেট জেলা জজ আদালতের আইনজীবি ও বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা এডভোকেট মো: আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই প্রবাসমুখি হয়। এখানে সরকারি বা বেসরকারি চাকুরীর প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিদেশমুখিতাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। তাই কোটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। লেখক ফারুক রেদওয়ান জানান, সারাদেশের মানুষ জানে বিয়ানীবাজার প্রবাসী বহুল এলাকা। এখানে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহ কম। এমন প্রেক্ষাপটে অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থী কারোরই কোটা কিংবা চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।
 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ানীবাজারের শিক্ষার্থীসহ তরুণদের বড় একটি অংশ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম স্থগিত কিংবা গতি কমিয়ে দেয়ায় কিছুটা বিরক্ত-বিষন্ন। তারা ভিন্ন পন্থায় রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন। কেউ আবার টেলিভিশনের পর্দায় মনোযোগী হয়েছেন।
 

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ এবং তদারকির কারণে উপজেলার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হাফিজুর/এসডি-৬২০৪