‘ছাত্রলীগকে নিয়ে কটূক্তি করার জের ধরে জামায়াত কর্মী আমজদ আলীর উপর হামলা ও জামায়াত কর্মীর মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া এবং পৌর শহরের আল-হেরা শপিং সিটির উপর থেকে দফায় দফায় জামায়াত কর্মীর পক্ষ নিয়ে দূর্বৃত্তরা ছাত্রলীগ-পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা ও ছাত্রলীগ সেই দূর্বত্তদের লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ’ করার ঘটনায় সিলেটের বিশ্বনাথে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

 



উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এসময় উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 


স্থানীয় ও প্রত্যক্ষ দর্শী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পৌর শহরে অবস্থান নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেশব্যাপী জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসিয়া সেতুর উপর অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় আমজদ আলী নামের এক জামাত কর্মী ও আল-হেরা শপিং সিটির ব্যবসায়ী মোটর সাইকেলে তাদের পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ছাত্রলীগ’কে নিয়ে কটুক্তি করে। ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সেই কটুক্তি শুনতে পেরে জামায়াত কর্মী ও ব্যবসায়ী আমজাদ আলীর উপর হামলা করে তার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

 


এক পর্যায়ে আজমদ আলী দৌঁড়ে আল-হেরা শপিং সিটিতে অবস্থান নেন। এরপর তার (আমজদ) পক্ষ নিয়ে মার্কেটের ৪র্থ ও ৫ম তলা থেকে ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দূর্বৃত্তরা। জবাবে ছাত্রলীগও পাল্টা ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নিলে মার্কেটের উপর থেকে পুলিশের উপরও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা সময় ধরে চলে পাল্টাপাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। এসময় আতংকে ব্যবসায়ী পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকার দোকান পাঠ ও সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পাশাপাশি মার্কেটের ভেতর থেকে ও ছাদের উপর থেকে ‘ভূয়া-ভূূয়া’, ‘হৈ-হৈ-রৈ-রৈ, মুজিব গেলি কই’ স্লোগান দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। স্লোগানের প্রতিবাদ জানিয়ে আবারও ছাত্রলীগ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আল-হেরা মার্কেটের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। তবে উভয় পক্ষের আহতদেরর নাম পাওয়া যায়নি।

 

বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, শান্ত বিশ্বনাথকে অশান্ত করাতে নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা আল-হেরা মার্কেটের ভেতরে অবস্থান করছিল।

 


বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / প্রনঞ্জয় / ডি.আর