বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। তারা উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিটি গ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত করে শৃংখলা বজায় রাখতে গুরুত্বারোপ করেন।
বিগত সময়ে বিয়ানীবাজারে রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্টে আওয়ামী লীগকে দায়ী করে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম বলেন, জন্মমাটিকে কলুষিত করতে দেয়া ঠিক নয়। তারা সবসময় ধৈর্য ধারণের পক্ষে থাকবেন। গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিনে উপজেলা ও থানা থেকে লুট করা সকল মালামাল দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিস্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান উপজেলা জামায়াতের আমীর।
বিগত দিনে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মাওলানা ফয়জুল ইসলামকে প্রশাসনের কারসাজিতে পরাজিত করার কথা তুলে ধরেন উপজেলা সেক্রেটারী আবুল কাশেম। এ সময় উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েব আমীর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, বর্তমান নায়েব আমীর মোস্তফা উদ্দিন, পৌর আমীর কাজী জমীর হোসাইন, লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান মো: দেলোওয়ার হোসেন ও মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং মর্মাহত হন।
এদিকে মঙ্গলবার দিনভর বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন স্থানীয় ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ। তারা মন্দিরের সেবায়েতদের সাথে সাক্ষাৎ করে অভয় দেন এবং প্রয়োজনে যেকোন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। এর আগে উপজেলা ছাত্র শিবির বিয়ানীবাজার শহরে এক বিশাল মিছিল বের করে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/হাফিজুর/এসডি-৬৩৮৭