সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিশেষ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিলেটে অবস্থানরত দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ সভায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা ও মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধনে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলায় দলের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকার প্রমান পেলে তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বুধবার বিকেল নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই বিশেষ যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী।
সভায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সুহেল, কামরুল হাসান শাহিন, নজিবুর রহমান নজিব, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, মকসুদ আহমদ, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আহাদ চৌধুরী শামীম, সুদীপ জ্যোতি এষ, জুবের আহমদ ফজলে আহসান রাব্বী, দেলোয়ার হোসেন দিনার, মাওলানা নুরুল হক, রায়হান এইচ খাঁন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম ও ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত বিজয়কে নসাৎ সরার জন্য কিছু দুর্বিত্তরা সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারী/বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মানুষের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করছে। এর সাথে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। যদি আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকেন আর তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৬৪০৩