৪ আগস্ট রোববার বিকেল। গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজারের স্থানীয় একটি মাদারাসা থেকে বাসায় ফিরছিলো শিশু তামিম আহমেদ (১১)। হোতাপাড়া থানা এলাকায় হঠাৎ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি শুরু করে পুলিশ। একটি রাবার বুলেট এসে তামিমের চোখে আঘাত করে। মুর্হুতেই সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। প্রায় একঘন্টা অজ্ঞান ছিলো তামিম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটির চোখ হারানোর শঙ্কায় রয়েছে পরিবার।
তামিম সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দিঘী চাকলপাড়া এলাকার মো নুর উদ্দিনের ছেলে। নুর উদ্দিনের গাজিপুরেরে একটি ফ্যাশন হাউসে কাজ করেন। পরিবারসহ তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে শিশু তামিমের পিতা মো নুর উদ্দিন সিলেটভিউকে বলেন, ছেলেটার জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হতে চলেছে। গুলিবৃদ্ধ হওয়ার পর তাকে প্রথম গাজিপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিলো। পরে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাললে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরার্মশে তাকে বাসায় নিয়ে এসেছি। এখনও তার চোখে গুলি রয়ে গেছে। কয়েকদিন পর তাকে আবার নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিম্ন আয়ের একজন মানুষ। আমার পক্ষে ছেলের চিকিৎসার সকল খরচ চালানো সম্ভব না। কারো কাছ থেকে কোন সাহায্যও পাচ্ছি না। সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছি। যোগাযোগ- ০১৯৭৩-৪৪৮০০৩ (পিতা)।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি