বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাব (এটিএম তুরাব) এর কবর জিয়ারত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার বিকেলে তিনি নিহত সাংবাদিক তুরাবের বিয়ানীবাজারস্থ ফতেহপুরের গ্রামের বাড়িতে যান এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।


এর আগে বিয়ানীবাজার নাগরিক কমিটি আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে তিনি সাংবাদিক তুরাবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমূল সংস্কার প্রত্যাশা করি। সংস্কারের যুদ্ধ শুরু হয়েছে কিন্তু এটি শেষ হয়নি। এই যুদ্ধে আমরা আছি এবং ইনশাআল্লাহ থাকব।’ জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘যে সমস্ত যুবসমাজ বৈষম্য থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য বুক উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন সেই ছাত্র-যুবসমাজের যে প্রত্যাশা, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের যে প্রত্যাশা আমাদের দলের সেই একই প্রত্যাশা। আর সেই প্রত্যাশা হলো দেশের ইনসাব কায়েম করা, বৈষম্য ও বেইনসাবি দূর করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করা।’

বিয়ানীবাজার নাগরিক কমিটির সভাপতি মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী এড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আবু কয়ছর, মোস্তফা উদ্দিন, সেক্রেটারী কাজী আবুল কাশেম, পৌর আমীর কাজী জমির হোসাইন, বড়লেখার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চেয়ারম্যান দেলোওয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ, এডভোকেট আসাদ উদ্দিন, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, কাউন্সিলার হাফিজ এমাদ আহমদ প্রমুখ।

এদিকে নাগরিক কমিটি আয়োজিত শোকসভায় একাত্মতা প্রকাশ করে সাংবাদিক তুরাবকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থির দাবী জানান বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল খালিক।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/হাফিজুর/এসডি-৬৪৬৮