সিলেটের উজানে ভারতে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই বৃষ্টিপাতের ফলে বাড়ছে সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি। কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদীর বাঁধের পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু হয়েছে। ফলে সিলেটে চতুর্থ দফায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 

চলতি বছরের ২৭ মে সিলেটে প্রথম দফা বন্যা দেখা দেয়। বন্যার পানি নামতে না নামতে ১৭ জুন সিলেটজুড়ে দেখা দেয় দ্বিতীয় দফা বন্যা। আর সিলেটবাসী তৃতীয় দফা বন্যার শিকার হন জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে। পানি বন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ১১ লাখ মানুষ।
 


গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, শেওলায় ৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা, সারি, ধলাই, লোভা, সারিগোয়াইনসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

এদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জকিগঞ্জ উপজেলার ছবড়িয়া এলাকা দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে জনপদে। পূর্বের ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
 

সিলেটের পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। সেখানে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টের পানি। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে কি না তা নিয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / শাদিআচৌ / ডি.আর /এসডি-৬৪৭৪