সরকার পদত্যাগ পর থেকে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে দেশ। ৫ আগস্ট থেকে ভেঙে পড়ে আইন-শৃঙ্খলা। ৬ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াই অনিরাপদে কেটেছে জীবন যাপন। আর এই সুযোগে সিলেটের দুটি পর্যটন স্পটে চলেছে হরিলুট। সাদাপাথর ও জাফলং থেকে লুট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার পাথর। যদিও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সেটা এখন বন্ধ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয়, আরো অনেক কিছু লুটপাট হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদাপাথর ও জাফলং পর্যটন স্পটে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য সাদা পাথর। এসব পাথরকে সাদা সোনার সাথে তুলনা করা হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের নজরদারির পরও প্রতি বছর লুট হয়ে আসছিল সাদা পাথর। এবার সরকার পতনের সুযোগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লুট করা হয়েছে পাথর। ৫-৬ আগস্ট শত শত ছোট-বড় নৌকায় করে পাথর লুট হয়। তারা সরকার পতনের পর নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ কাজে লাগায়। পুলিশ, আনসার ও বিজিবি না থাকার সুযোগে যে যার মতো করে লুটপাট শুরু করে। স্থানীয়দের অনেকে এসব পাথর নিয়ে নদীর চর কিংবা বাসাবাড়ির সামনে স্তূপ করে রেখেছে। দূর-দূরান্ত থেকে এসেও লোকজন নৌকায় করে পাথর নিয়ে গেছে। অনেকেই ছোট নৌকা দিয়ে পাথর ঘাটে নিয়ে এসে বিক্রি করছিল। তবে খবর পেয়ে ছাত্র-জনতা পাথর লুটকারীদের তাড়িয়ে দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও পাথর লুট থামাতে এগিয়ে আসেন। এরপর সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে চলে অভিযান। বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দও করা হয়েছে।
 


অন্যদিকে সরকার পতনের পরপর জাফলং কোয়ারি থেকেও পাথর লুট হয়েছে। ৫ ও ৬ আগস্ট জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকেও শত শত নৌকায় এসে লোকজন পাথর লুট শুরু করে। গত বৃহস্পতিবার জাফলং এলাকায় সেনাবাহিনী ছাড়াও স্থানীয়রা পাথর লুট রোধে কাজ শুরু করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জাফলং থেকে পাথর চুরি না করতে মাইকিং করছেন।
 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয়, আরো অনেক কিছু লুটপাট হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত /এসডি-৬৫২৩