থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি আদালত রায় দিয়েছে তিনি সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। আদালতের এমন রায়ের কারণে আরও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল থাইল্যান্ড।
 

এই একই আদালত গত সপ্তাহে দেশটির জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নিষিদ্ধ করে দেয়। অথচ দলটি গত বছরের সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায়। এছাড়া দলটির নেতাদের রাজনীতি থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধও করা হয়।


ব্যাংককের সংবিধান আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন।
 

আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

এখন দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতাসীন ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট ফের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নতুন প্রার্থী দেবে। যিনি সংসদের ৫০০ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
 

গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা। এরমাধ্যমে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান হয়েছিল। কিন্তু তার ফিউ থাই পার্টিকে সেনাবাহিনীর মনোনিত প্রার্থীদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছিল।

স্রেথার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আদালত আজকে এই রায় দিয়েছে; এই অভিযোগটি আদালতে করেছিলেন সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ৪০ জন সিনেটর। পিচিট চুয়েনবান নামের যে আইনজীবীকে সরকারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কাছের লোক ছিলেন।
 

পিচিট চুয়েনবান ২০০৮ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জমি সংক্রান্ত মামলাটিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রাও জড়িত ছিলেন।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৬৫৬৪


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট