আগামী ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) প্রকাশিত হবে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল। এদিন বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।
 

সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।


গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে স্থগিত হওয়া ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাতিল করা হয়। পরে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষার ফল সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেখানে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে।
 

চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকভাবেই হয়েছে। কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এক পর্যায়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতার মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বাকী পরীক্ষাগুলো না দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে। এমনকি সচিবালয় ঘেরাও করে তারা। ফলে বাধ্য হয়ে বাকী পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
 

এই প্রেক্ষিতে পরীক্ষা না হওয়া বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে ফলাফল তৈরির সিদ্ধান্ত হয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভায়।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা সেসময় জানান, যে ছয়টি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে যেসব বিষয়ের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। অর্থাৎ জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে ফল তৈরি হবে।
 

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। যেমন— কোনো একটি বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ২৫ এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে এইচএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০। এভাবে ২৫-৭৫ শতাংশ নম্বর যোগ করে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশ গড় করে পরীক্ষা না হওয়া ছয় বিষয়ের নম্বর প্রদান করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৭৮৫৩


সূত্র : ঢাকা টাইমস